এই সপ্তাহের ফিন্যান্সিয়াল টার্ম- মিড-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড
মিড-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড হল এমন এক ধরনের ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম যারা মূলত মিড-ক্যাপ কোম্পানিগুলির স্টকে বিনিয়োগ করে. সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (এসইবিআই) সমস্ত কোম্পানিকে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশান অর্থাৎ সেই কোম্পানির সমস্ত আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ারের মার্কেট ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত করেছে. উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও কোম্পানির হাতে 1,00,000 আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ার থাকে যার প্রতিটির বিক্রয় মূল্য ₹25, তাহলে কোম্পানির মোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশান হবে ₹25,00,000 মিউচুয়াল ফান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, এসইবিআই নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিভক্ত করেছে-
মিড-ক্যাপ ফান্ডের বৈশিষ্ট্য
মিড-ক্যাপ কোম্পানি বলতে সাধারণত তাদের বোঝায় যারা স্মল-ক্যাপ কোম্পানির থেকে উন্নত হয়েছে এবং লার্জ-ক্যাপ কোম্পানি হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে. মিড-ক্যাপ ফান্ড তাদের অ্যাসেটের অন্তত 65% মিড-ক্যাপ কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করে. যে কোনও কোম্পানির বৃদ্ধির পর্যায়ে, মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলি বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে বড় আকারের কোম্পানিগুলির তুলনায় তুলনামূলক ভাবে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেতে পারে. এটি হল বৃদ্ধির হারের উপরেই মিড-ক্যাপ ফান্ড ভরসা করে. এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, মার্কেট কারেকশানের সময়, লার্জ ক্যাপ ফান্ডের তুলনায় মিড-ক্যাপ ফান্ড অনেক বেশি প্রভাবিত হতে পারে.
মিড-ক্যাপ ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজাররা কোম্পানির মূল্য, সম্ভাবনা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে উচ্চ হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এমন কিছু মিড-ক্যাপ কোম্পানি খুঁজে বের করার উপরে জোর দেয়. মূল বিষয়টি হল, এমন একটি স্টকে বিনিয়োগ করতে হবে যা খুব ভালোভাবে কাজ করছে এবং যার চরিত্রের স্থিরতা এসেছে, ও তার পাশাপাশি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে.
একটি মিড-ক্যাপ ফান্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
- লার্জ ক্যাপ ফান্ডের তুলনায় তাদের ভাল রিটার্ন দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- এগুলি লার্জ-ক্যাপ ফান্ডের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং অস্থিরতার দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়
- দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং শর্ট-টার্মের ক্ষেত্রে অস্থির হতে পারে
মিড-ক্যাপ ফান্ডে কাদের বিনিয়োগ করা উচিত?
আপনি কোনও মিড-ক্যাপ ফান্ডে কখন বিনিয়োগ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন, সেগুলি নীচে দেওয়া হল-
:;
- যদি আপনি একটি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করতে চান. মিড-ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য ধৈর্য্য প্রয়োজন, কারণ মিড-ক্যাপ কোম্পানিগুলির বৃদ্ধি পেতে অনেক সময় লাগে. এটি আপনার কৌশলগত পছন্দ হতে হবে. সুতরাং, জীবনের যে কোনও দীর্ঘ-মেয়াদি লক্ষ্য পূরণ করার জন্য এগুলি অনেক বেশি উপযুক্ত, যেমন - অবসর গ্রহণ, সন্তানের বিয়ে ইত্যাদি. মিড-ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময় আপনি 5-10 বছরের সময়সীমা বিবেচনা করতে পারেন.
- আপনার যদি অস্থিরতা সহ্য করার মতো ঝুঁকি নেওয়ার থাকে, তাহলে মিড-ক্যাপ ফান্ড আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদের মধ্যে আপনার কর্পাস বৃদ্ধি করার সুযোগ দিতে পারে; কিন্তু এগুলির মধ্যে লার্জ-ক্যাপ ফান্ড এর তুলনায় বেশি ঝুঁকি থাকে.
প্রথমবার যাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া মিড-ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে হাতে সময় নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন.
মিড-ক্যাপ ফান্ডের জন্য ট্যাক্সেশান
অন্য যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডের মতো, এখানে থেকে প্রাপ্ত ক্যাপিটাল গেইন করের আওতায় পড়ে. মিড-ক্যাপ ফান্ড হল ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড এবং সেই অনুসারে কর প্রযোজ্য় হয়-
শর্ট-টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (এসটিসিজি) ট্যাক্স - যদি ইউনিট অধিগ্রহণের তারিখ থেকে 12 মাসের কম সময়ের জন্য বিনিয়োগকারীর হাতে থাকে, তাহলে এই ধরনের লাভের উপরে 15% হারে ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে.
লং-টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (এলটিসিজি) ট্যাক্স - যদি ইউনিট অধিগ্রহণের তারিখ থেকে 12 মাসের বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগকারীর হাতে থাকে, তাহলে এই ধরনের লাভের উপরে @ 10% হারে ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে. কস্ট-এর গ্র্যান্ড ফাদারিং বাবদ অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে এবং তার জন্য ₹1 লক্ষের সীমা উপলব্ধ আছে.
এছাড়াও, ইক্যুইটি ওরিয়েন্টেড মিউচুয়াল ফান্ডগুলি নির্ভর করছে এসটিটি (সিকিউরিটি ট্রানজ্যাকশান ট্যাক্স)-এর উপরে.